আলেম সমাজের অনৈক্যের অন্যতম কারন হল আলেম সমাজের একটি অংশের তাদের বিশ্বাসের বিপরীত কাজ করা । প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের সঠিক প্রতিনিধিত্ব করেন না ।
তারা মুখে ঈমান ও ইসলামের কথা বলেন ঠিকই কিন্তু বাস্তব জীবনে তারা ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত কাজ করে থাকেন ।
তারা আলেম কিন্তু মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী রাজনীতি করেন না বরং তারা মানব রচিত মতবাদ কায়েমের রাজনীতি করে থাকেন । অথচ একজন খাঁটি আলেমদ্বীন কোন অবস্থায় ইসলামের বিপরীত কোন রাজনীতি করতে পারেন না ।
তারা মানব রচিত মতবাদ কায়েমের জন্য নিজের সময়, শ্রম, মেধা এবং যোগ্যতা ব্যয় করতে পারেন না । তাদের এ আচরণের ফলে যুগে যুগে ইসলাম ও মুসলিম সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে আসছে যা দুঃখজনক ।
একজন আলেম ইসলামের বিজয়ের জন্য কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক কিন্তু তারা সে মহান কাজটি না করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেন তাই আমরা সমাজে দেখতে পাই, জাতীয়তাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক আলেম ।
একজন আলেম কিভাবে লম্বা টুপি, পাগড়ী, পায়জামা, পাঞ্জাবী পড়ে মানব রচিত মতবাদের পক্ষে গুনগান করতে পারেন? তারা কি ইসলাম বুঝেন না? অথবা তারা কি বুঝেশুনে মানব রচিত মতবাদ কায়েমের রাজনীতি করেন?
তারা আলেমদের মাঝে ছোটখাট বিষয় নিয়ে বিবাদ, বিশৃংখলা জিইয়ে রাখেন । ফলে তাদের নেগেটিভ ভুমিকার কারনে ইসলাম এবং মুসলমানদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে ।
অথচ ইসলামের ইতিহাস পড়লে আমরা দেখতে পাই, খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)দের মধ্যে কেউ জাতীয়তাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষবাদী বা সমাজতান্ত্রিক ছিলেন না । তাঁরা সবাই ছিলেন ইসলামপন্থী এবং ইসলামের বিজয়ের জন্য আপোষহীন এবং নিবেদিত প্রাণ । তাঁরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন ।
তাই সুযোগ সন্ধানী, সুবিধাবাদী এবং নামধারী আলেমগন যেমন প্রকৃত আলেমের কাতারে পড়েন না তেমনি তারা ইসলামের প্রকৃত প্রতিনিধিও হতে পারেন না ।
তাই ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থে আলেম সমাজের উচিত “ওরাসাতুল আম্বিয়া” হিসেবে যথাযথ ভূমিকা পালন করা ।